বার্তা প্রতিবেদক: আগামী দুই বছরের জন্য পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। সংগঠনটি আরও জানায়, বর্তমানে পুঁজি সংকটে থাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে নতুন আরও ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণ বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যবস্থাপনা শাখা গঠন ও নীতি প্রণয়নের দাবি জানান তারা।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় দোকান মালিক সমিতি। সংগঠনের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণ শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। এই সময়ে তিনটি ঈদ, দুটি পহেলা বৈশাখ ও দূর্গাপূজার উৎসবে ব্যবসা করা সম্ভব হয়নি। এবার ঈদ বাজারে ১০ দিন দোকান বন্ধ ছিল। ১৭ দিন খোলা থাকায় কোনোভাবে টিকে আছেন। দীর্ঘ এই মন্দার কারণে ৬০ শতাংশ ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়েছে। এখন ৪০ শতাংশ পুঁজি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা সম্ভব নয়। এত দিন দিন পুঁজি হারানোর পরিমান আরও বাড়তে থাকবে।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি জানান, এ অবস্থায় পুঁজি সংকটে থাকা ব্যবসায়ীদের সচ্ছল করতে এসএমই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণের মধ্যে ১৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা বিতরণ হয়নি। এই টাকার সঙ্গে নতুন করে আরও ৩৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা ঋণ বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কোনো ব্যবস্থাপনা শাখা ও নীতি হয়নি। এর ফলে এসএমই খাতে ৫৫ লাখ ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সুযোগ পায় না। বড় ও মাঝারিরা সব নিয়ে যায়। এ খাতকে সুশৃঙ্খল ও অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল করতে আলাদা ব্যবস্থাপনা শাখা ও নীতি প্রণয়ের দাবি জানান। এ ছাড়া ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে অসম ব্যবস্থা দূর করা ও ভ্যাট সংগ্রহে বিদ্যমান অর্থনৈতিক অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। এ জন্য আগামী দুই বছর পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে আরোপিত ভ্যাট স্থগিত করে উৎসে আদায়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। একইসঙ্গে আগামী দুই বছরে সব দোকানে ইএফডি মেশিন স্থাপনের দাবি জানান।
ওএস/আরপি